রাজধানীর মিরপুর ও পল্লবীতে ট্রাফিক পুলিশের পাঁচটি বক্সে হামলা চালিয়েছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকরা। এর মধ্যে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় হামলায় পুলিশের একজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। আহত ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম মিজানুর রহমান। জানা গেছে, মিরপুর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযানে ক্ষুব্ধ হয়ে অটোচালকরা এ ঘটনা ঘটান।
পুলিশ বলছে, গতকাল সকালে পল্লবীতে মূল সড়কে অবৈধভাবে চালানোর অভিযোগে ব্যাটারিচালিত দুটি রিকশা জব্দ করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকরা কয়েকটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা করেন। এ সময় রিকশা চালকরা ভ্যান ও রিকশায় করে ইটপাটকেল নিয়ে আসেন। পরে তারা কালশী মোড়, মিরপুর ১২, সাগুফতা মোড়, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা করেন।
এ বিষয়ে মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের পল্লবী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) ইলিয়াস হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে পারবে না। সে অনুযায়ী আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রিকশাচালকরা সংঘবদ্ধ হয়ে একাধিক ট্রাফিক বক্সে হামলা করেছেন। ব্যাটারিচালিত রিকশার মালিক মিরপুর ও পল্লবী এলাকার স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চালক এনে মিরপুর ও পল্লবী এলাকায় অবৈধভাবে রিকশার ব্যবসা করেন। গত এক দশকে প্যাডেলচালিত রিকশায় ব্যাটারি সংযোজন করার প্রবণতা বেড়েছে। জেলা শহরগুলোতে এখন ব্যাটারিচালিত রিকশার আধিক্য। প্যাডেলচালিত রিকশা দেখাই যায় না কোথাও কোথাও। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রিকশাচালকরা ইট-পাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা করেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর মিরপুর ও পল্লবী এলাকার পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে ওইসব এলাকায় পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় থাকতে দেখা গেছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগে হামলাকারী এবং হামলার উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। এদিকে রাতে পুলিশ বক্সে ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে পল্লবী থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশের কাজে বাধা ও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগে মামলায় অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহাদ আলী। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন
Facebook Comments Box